৮১ বছর আগে ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের ২২শে শ্রাবণ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এ ধরাধামের মায়াত্যাগ করে চিরনিদ্রায় শায়িত হন। বাংলাভাষা এবং সাহিত্যকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পৌঁছে দিয়েছেন অনন্য উচ্চায়। বাংলা সাহিত্যের প্রতিটি ধারায় রয়েছে তাঁর প্রতিভার স্বাক্ষর। ছোট গল্প, উপন্যাস, নাটক, কবিতা, গান প্রবন্ধ ইত্যাদি প্রতিটি শাখায় ছিল তাঁর প্রতিভার অবাধ বিচরণ। লেখালেখির পাশাপাশি একাধারে তিনি ছিলেন সংগীতস্রষ্টা, নাট্যকার, চিত্রকর, অভিনেতা, কণ্ঠশিল্পী ও দার্শনিক। এশীয়দের মধ্যে সর্বপ্রথম সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারের বিজয়ীও তিনি। তাই তাঁকে বলা হয় বিশ্বকবি। তাঁর রচিত এবং সুরারোপিত তিনটি গান বাংলাদেশ, ভারত এবং শ্রীলঙ্কার জাতীয় সংগীত হিসেবে স্বীকৃত। বর্ষা ঋতু ছিল কবিগুরুর প্রিয় ঋতু। বর্ষার রূপে মুগ্ধ কবি। এ ঋতুকে নিয়ে লিখেছেন অনেক কবিতা, গান, ছোট গল্প ইত্যাদি। এ বর্ষাতেই তিনি চিরবিদায় নিয়েছেন তাঁর প্রিয় এই পৃথিবী থেকে। এই অসীম প্রতিভাধর মহা কবির মহা প্রয়াণে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলী জানাতে ওয়ার্ডব্রীজ স্কুল এক ছোট্ট মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। আমাদের ছাত্রছাত্রীরা কবিগুরুকে স্মরণ করেছে তাঁর রচিত গানে এবং কবিতায়। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা নিজেদের সাজিয়েছে নীল ও সাদা রঙে। কবিগুরু রচিত গানে মুখরিত হয়েছে স্কুল প্রাঙ্গন এবং তাঁর রচিত গানে নৃত্যের তালে ঝংকারিত হয়েছে চারিদিক। বিশ্বকবির প্রতি আমাদের শ্রদ্ধার্ঘ অর্পনের ছোট্ট প্রয়াস এক মনোমুগ্ধকর আবেশ ছড়িয়ে দিয়েছিল সবার মাঝে।