গত ১১ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ছিল আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৪ তম জন্মবার্ষিকী। ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ই জ্যৈষ্ঠ এই বিখ্যাত কবির জন্ম হয় ভারতের পশ্চিম বঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে। তিনি ছিলেন তাঁর বাবা-মায়ের বড় ছেলে। তাঁর ডাক নাম ছিল দুখু মিয়া। স্বদেশের চেতনায় উজ্জীবিত কবি নজরুল ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অন্যায়ের বিরুদ্ধে রূখে দাঁড়ান তার লেখনীর মাধ্যমে। তার প্রতিবাদের কারণে তাঁকে বারবার কারাবরণ করতে হয়, কিন্তু তিনি থেমে থাকেননি। বরং নব উদ্দমে উদ্দীপনামূলক কবিতা, গল্প, উপন্যাস লিখে গেছেন। তাই তাঁকে “বিদ্রোহী কবি” উপাধি দেয়া হয়েছিল। নজরুল ছিলেন বহুভাষাবিদ এবং বহুমাত্রিক প্রতিভাধর একজন মানুষ। একাধারে তিনি ছিলেন কবি, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, প্রবন্ধকার, বংশীবাদক, গীতিকার, সুরকার, অভিনেতা ইত্যাদি। সাম্যবাদী এই কবি হামদ-নাত যেমন লিখেছেন তেমনি লিখেছেন শক্তি পদাবলী। কাজী নজরুল ইসলাম আমাদের জাতীয় কবি। কবির জন্মদিনে অমর এই কবিকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করতে ওয়ার্ডব্রীজ স্কুল আয়োজন করে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের । স্কুলের প্লে থেকে নবম শ্রেণীর সকল ছাত্রছাত্রীরা এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে। তাদের গানে, সুরে, কন্ঠে, পদছন্দে, আবৃত্তিতে নজরুলের বহুমাত্রিকতা প্রতিধ্বনিত হয় অডিটোরিয়ামের প্রতিটি কোণে। ওয়ার্ডব্রীজ স্কুলের শ্রদ্ধেয় অধ্যক্ষ রূহি ফেরদৌস জামানের বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়।